রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
যুক্তরাজ্যের লুসিকে নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যের লুসিকে নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধে নীরব অবদান আর মানবসেবায় কাজ করা বরিশালে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকালে লুসি হল্টের হাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদটি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এখনদ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী হলেন লুসি।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাতির জনকের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করায় লুসি হল্টকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

৫৭ বছর ধরে বাংলাদেশে থাকা ৮৭ বছর বয়সী লুসি ১৯৩০ সালের ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জন হল্ট ও মা ফ্রান্সিস হল্ট।

প্রসঙ্গত, যুগান্তরে বিজয় দিবসের বিশেষ সংখ্যায় একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে লুসি হল্টের জীবনী। এই ভিনদেশীর বাংলাদেশের প্রতি মমত্ব ও অবদান তুলে ধরা হয় সেখানে। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরের ফাতেমা হাসপাতালে যুদ্ধাহতদের সেবা করেন। বিদেশে চিঠি লিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমতও গড়েন। ৫৭ বছর ধরে এ দেশে থাকা লুসির চাওয়া ছিল প্রতি বছর ভিসা ফি মওকুফ ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। পরিশেষে তার দুটি চাওয়াই পূরণ করেছে সরকার।

১৯৬০ সালে লুসি হল্ট প্রথম বাংলাদেশে আসেন। বরিশাল অক্সফোর্ড মিশনে যোগ দিয়ে তিনি মানুষের প্রতি সেবার হাত বাড়িয়ে দেন। বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে তিনি স্বাধীনতার পর এ দেশেই থেকে যান। তিনি চান, মৃত্যুর পর তার মরদেহ যেন বরিশালের মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়। ২০০৪ সালে অবসরে যাওয়া লুসি এখনও বরিশালে দুস্থ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও ইংরেজি শিক্ষা দিচ্ছেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com